আসসালামু আলাইকুম।
ব্লগে এডসেন্সের এপ্রুভাল পাওয়ার কিছু যোগ্যতা: আপনার লেখালেখি করার অভ্যাস। সেই অভ্যাস থেকে একটি ব্লগ তৈরি করে সেখানে নিয়মিত লিখছেন।জানেন কি, আপনি সেই ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট থেকে সহজেই আয় করতে পারেন? প্রশ্ন করতে পারেন, কিভাবে আয় করা যায়?তার উত্তর গুগল এডসেন্স।আপনি হয়তো গুগল এডসেন্সে এখন পর্যন্ত এপ্লাই করেন নি কিংবা অনেক চেষ্টা করেও হয়তোবা গুগল এডসেন্স এপ্রোভাল পাননি ফলে আপনার লেখাগুলো বিনামুল্যেই মানুষ পড়ছে। নিরাশ হবেন না। আপনি আপনার লেখার যথোপযুক্ত বিনিময় পাচ্ছেন না কিন্তু আজকে আমার এই কন্টেন্ট পড়ে হয়তো অনেকেই নিয়মকানুন মেনে বা যোগ্যতা অর্জন করে এপ্লাই করুন অবশ্যই এপ্রুভ হবে।তবে চলুন জেনে নেয়া যাক, গুগল এডসেন্স এপ্রোভাল পাওয়ার আগে বিশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যা আপনাকে গুগল এডসেন্স এপ্রোভাল পেতে সাহায্য করবে।
১) কপিরাইট কনটেন্ট পরিহার করুণ:
আমাদের অনেকেরই ধারনা অন্য কারো ওয়েবসাইট থেকে লাইন কপি করলেই নাকি কন্টেন্ট হয়ে যাবে। হ্যা হবে কিন্তু যারা গুগল এডসেন্সের এপ্লাই করবেন তারা ভুলেউ করবেন না। ব্লগ বা ওয়েবসাইটে লেখার শুরুতেই মনে রাখতে হবে একটি সিংগেল লাইনও এমনকি ১ টা শব্দ ও কপি পেস্ট করা যাবেনা। আপনার লেখায় যেমন আপনার অধিকার আছে তেমনি, আরেকজনের লেখাতেও তার অধিকার রয়েছে।
কারো লেখা চুরি করে আপনার নামে চালিয়ে দেওয়ার কোন অধিকার আপনার নেই। গুগল এই বিষয়টাতে অনেক সচেতন তাই, কোনভাবেই একজনের লেখা চুরি করে নিজের ব্লগে/ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যাবেনা। লাগলে ১মাস পর পর লেখা পাবলিশ করুন তারপরও কপি পেস্ট পরিহার করুন। হ্যা, এতে ট্রাফিক কমে যাবে কিন্তু তাউ দয়া করে কপি পেস্ট করবেন না।
২) পোস্টের আকার:
আপনি একটি ২০০ শব্দের পোস্ট লিখলেন। এবার আমরাই ভাবি যে, মাত্র ২০০ শব্দে কিভাবে আমাদের মনের ভাব সম্পুর্নভাবে প্রকাশ পায়? একটি ব্লগে সাধারণত খোলামেলা আলোচনা থাকে। আপনি যখন একটি লেখা পাবলিশ করতে যাচ্ছেন তখন মনে রাখতে হবে, এটি একটি ব্লগ, ফেসবুকের পোস্ট না। ব্লগ পোস্টগুলি সর্বনিম্ন ৫০০ শব্দের হয়ে থাকে যদিও এটি কোন ব্লগের শব্দে সংখ্যার স্ট্যান্ডার্ড মান না তারপরও মোটামুটি ৫০০ থেকে ৮০০ শব্দের ব্লগগুলো মাঝামাঝি আকারের বলা যায়। আপনি ইচ্ছা করলে ১০০০ বা ততোধিক শব্দেরও লিখতে পারেন। যা আপনার জন্য ভালো। মনে রাখবেন, সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার আপনার ব্লগটি অবশ্যই ব্লগের মত হতে হবে। এখানে খোলামেলা আলোচনা করে বিষয় সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিবেন।
৩) টপ লেভেল ডোমেইন থাকতে হবে:
আপনি যে ব্লগ/ওয়েবসাইট চালান সেটির দু ধরনের ডোমেইন থাকতে পারে।
প্রথমত, ridoyofficials.blogspot.com
দ্বিতীয় যে ডোমেইন টি দেখছেন এটি একটি ফ্রী সাব ডোমেইন। এটি blogspot এর পরবর্তে wordpress ও হতে পারে। তবে যাই হোক না কেন, এরকম সাব ডোমেইন দিয়ে আপনি কখনোই গুগল এডসেন্স এপ্রোভাল পাবেন না। তবে কথাটি সম্পুর্ণ সঠিক কথা নয়। কেননা আপনার ব্লগের আর্টিকেলই আপনার ব্লগের প্রাণ। তবুও সেক্ষেত্রে আপনাকে একটি টপ লেভেল ডোমেইন কিনে ব্লগ/ওয়েবসাইটে সেটআপ করতে হবে। কিভাবে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটে টপ লেভেল ডোমেইন সেটআপ করবেন তা নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা করবো। অবশ্যই আরেকটি কথা মনে রাখবেন, টপ লেভেল ডোমেইনের ক্ষেত্রে ডট কম, ডট নেট এবং ডট অর্গ এই তিনটি অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে। সুতরাং ডোমেইন কিনতে চাইলে অবশ্যই এই তিনটর মধ্যেই কেনার চেষ্টা করবেন।
0 Comments